Wednesday 28 October 2015

মেঘ বাড়ি

 "মেঘ বাড়ি"
 বিশ্বাস তন্ময়

|| অই দূর মেঘের উপর বানাবো একটি বাড়ি
দঃখ যতই আসে আসুক দেবো সে পথ পাড়ি
বিশাল কুঠির চাই না আমার করতে বসবাস
লতা পাতা আর গুল্ম হলেই কেটে যাবে রাত
কর্মহীন বলে আমায় দিওনা শুধু গালি
দঃখ-কষ্ট ঠেলেও আমি এখনো পথ চলি
স্বপ্ন আমার স্বপ্নই রবে তা কি করে হয়
স্বপ্ন যে ওরা ঘুমের ঘোরে বাস্তবে কথা কই ||

                                                                                                  মাঃডাঃ,কেশবপুর। ২৮।১০।১৫

 

Tuesday 27 October 2015

বদ্ধঘর


            “বদ্ধঘর”
           বিশ্বাস তন্ময়

|| ওরে তোরা বুঝবি কেমন করে
জ্ঞান যে তোদের আটকে আছে অই বদ্ধ ঘরে
আছে যে এক অচিন পাখি তাহারি ভিতরে
সময়ে অসময়ে সে'ত বাইনা শুধু করে
কিবা ধরে কিবা ছাড়ে তাই ভেবে মরে
কারনে অকারনে সে'ত দ্বন্দ্ব শুধু করে
কিবা ভাল কিবা মন্দ  নাহি ধরে তার কানে
সৃষ্টিতত্ত্ব ভুলে সে'ত পোড়ে রোষানলে
ওরে তোরা বুঝবি কেমন করে
জ্ঞান যে তোদের আটকে আছে অই বদ্ধ ঘরে ||

                                                                                                 মাঃডাঃ,কেশবপুর। ২৭।১০।১৫

Sunday 25 October 2015

অনন্ত বিজয়


"অনন্ত বিজয়"
 বিশ্বাস তন্ময়

|| ইতিহাস রাখবে মনে
করনা তুমি ভয়, হে অনন্ত বিজয় !
দিয়েছ রক্ত তুমি যে বঙ্গ তরে
লাখ প্রাণ ঝরে গেছে তারহারি জঠোরে |

বাঙ্গালী দামাল মোনা করে না'তো ভয়
সহ্সা রক্ত ঝরায় নেই যে সংশয়
তুমি করনা'কো ভয়
ইতিহাস রাখবে মনে, তুমিই বিজয় !

শুধু ভয় হয়
স্বাধীনতা যেন ক্ষয় নাহি হয়
দানবের পদ ছোঁয়ায় !
হে অনন্ত বিজয়,
দামালের নেই আহুতির সংশয়
ইতিহাস রাখবে তোমায় পাতায় পাতায়
তুমি করনা'কো ভয় ||

                                   
                                    ২৬-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা।

সিরিয় শিশু



 "সিরিয় শিশু"
  বিশ্বাস তন্ময়

|| বিশাল তোটিনির অই হাহাকার শোনা যায় !
যার স্থান দুগ্ধ মুখে মাতৃ কোলে অই
পড়লো দেখ সেও আজ শকুনির রোষানলে                                       
আছে পড়ে ক্ষুদ্র মানব তোটিনি গহব্বরে
কেই'বা হাসে, কেই'বা কাঁদে, কেউ'বা চুপি সরে
মা'যে আমার হয়ে হতবাক বসে রয় নদী তীরে
কে বুঝবে দুঃখ তার দেবে কে সান্তনা
মা'যে আমার নিশ্চল অজি অশ্রু যে বাঁধ ভানঙ্গা
এত ক্ষুদ্র দেহটি তার গন্ধ নাহি ছড়ায়
তবু দেখ, অবাক পৃথিবী চুপি সারে চলে যায় ! ||

                                                         

                                                                    ২৫-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা।

Saturday 24 October 2015

শান্তি বারী


"শান্তি বারী"
বিশ্বাস তন্ময়

|| সৃষ্টি যে অই চলেছে দেখ
সহ্শ্র কাল ধরে একে অন্যের তরে
দঃখ সুখের প্রদীপ জ্বালায় একে অপরে ঘরে
আনন্দ হরষে রংধনু পরশে মেতে উঠে আঙ্গীনা ওদের
নতুন প্রভাত ফোঁটে রবির কিরণ সাথে আঁধার যে টুটে যায় |

ওরে তোরা করিস'নে আর দ্বন্দ লড়াই
ফেলে হাতিয়ার চলরে সবাই ঔদের সুরে গায়
আকাশে বাতাসে কেন'রে আজ হাহাকার শোনা যায়
নিজের খুনেই রক্ত হোলি খেলিস কেন ভাই !
দুঃখ যদি আসে দ্বারে লড়রে তোরা সবার তরে
ক্ষনিকের এই ছোট্ট দেখায় দ্বন্দ কিসের বল
সৃষ্টি কি তোরা সাথে করে নিবি শেষ ঠিকানায় ?
সব ভেদাভেদ ভুলে আজি  প্রেমের লাহরি বাঁজা দেখি
স্বর্গ যাতে মত্তে এসে লুটোপুটি খেয়ে যায়
ফেলে হাতিয়ার চলরে সবাই প্রকৃতির সুরে গায় |

কুরান পুরান বেদ বেদান্ত কি হবে দিয়ে বল
মহা মানবের প্রেমের সাথেই করলি যদি ছল 
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খিষ্ঠান সাবাই যে মোরা ভাই
চলরে সবাই মিলেমিশে মোরা শান্তির গান গায় ||

                                                                     ২৪-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা।

Friday 23 October 2015

প্রতিক্ষা


  "প্রতিক্ষা"
 বিশ্বাস তন্ময়

|| ঊদ্ধ-অধো জুড়ে কালো মেঘ ছেয়ে আছে পাহাড়ে
নিঃস্তব্ধায় ঘেরা প্রকৃতি, নেই কলোরব পাখিদের
মেঘ হটিয়ে ফোঁটাতে আলো পবনও যেন ব্যার্থ হল
দিনে দিনে পাঁচ ফুরালো ষষ্ঠী গিয়ে দশমী এলো 
মেঘান্বেষী তবু আমর লাপাত্তাই রয়ে গেল !
লুকালো মুখ মেঘের আড়ালে অজানা কোন এক অভিমানে |

কত বর্নালী সাজই ও সেজেছে আজ বিজয়ার দিনে
এদিকে ও দিকে ঘুরে ফিরে মজেছে কত'না হৈহুল্লে 
শুধু করেছে বন্ধ  মনের দোয়ার আমার জন্য--প্রবেশ নির্ষিদ !
বুকের মাঝে একদল কলো মেঘ নিয়ে আছি বসে--একাকি নির্জনে
নিঃস্তব্ধ ঘরের মাঝে সব মেঘ যেন জুঠেছে এসে
অমানিশা যেন পড়েছে ঢলে দিনের আলোয় জানলা তলে
ঘড়ির কাঁটার টিকটিকটিক শব্দ আর মেঘেদের সঙ্গী হয়ে
প্রতিক্ষার প্রহর চলেছি গুনে বিসর্ন এক্ষনে মেঘান্বেষীর সন্ধানে ||

                                                                                               (শুভ বিজয়া)
                                          ২৩-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা।

অব্যাক্ত মুখ

 "অব্যাক্ত মুখ"
 বিশ্বাস তন্ময়

|| পঞ্চ-ইন্দ্রয় বিকল হলে স্মৃতি দেয় তার দুয়ার খুলে
অনেক কথা আসে ভেসে সেই দুয়ারের গহিন থেকে
স্মৃতির ফ্রেমের অনূভুতি গুলো গুমরে কাঁদে যায়
সঞ্চারিকা শক্তি যেন খুঁজে না পায় বাঁচার দিশা
জীবন সায়হ্নের বেলা ভূমিতেই থমকে দাঁড়িয়ে যায়
এমনই এক বিষন্ন ক্ষণে ক্লান্ত সেই প্রাণের মনে
আশার ঘন বর্ষন যেন বাঁধ ভেঁঙ্গে দেয়
যদি এক অব্যাক্ত চেনা মুখ প্রতিয়্মান হয় ||


                         
                                                                                                 (শুভ বিজয়া)
                                          ২৩-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা।



                                           

Thursday 22 October 2015

প্রজ্ঞা

"প্রজ্ঞা"
 বিশ্বাস তন্ময়

হে প্রজ্ঞা, বাকদেবীর মানষ কন্যা
তুমি যে এক প্রজ্বলিত শিখা
তোমার প্রতিভায় মুখরিত হয়ে
বেঁজে উঠুক শঙ্খ ধ্বনি সুরের লাহরি হয়ে
সকল অজ্ঞানতার ইতিকা হয়ে তুমি
জ্ঞানের কিরণ মালা বিকাশিত করো বিশ্ব লোকে |

হে কৃষ্ণ ভগিনী, বিদুষীণি কন্য
তোমার চিন্ময়ী রূপে
মহীমার্নীত হোক যত চরাচর আছে ত্রিলোকে
তোমার পুষ্প পলাশ সুভাষে
ভোরে উঠুক ইন্দ্রালয়ের রন্ধ রন্ধ
প্রসন্নীত হোক য্ত দেব-দেবী আছে দ্যুলোকে |

হে শিল্পী, বিল্পবীণী গার্গী
তোমার হস্থে রচিত হোক নব সৃষ্টি
অনুসরণীয় হোক কৃত্তি তোমারে যুগে যুগে
তোমার তন্ময়ী ভাবে, যুক্তিসিদ্ধ বাচন শৈলীতে
জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূলাধার রুপে তুমি
সুশোভিত করো এ সুবিশাল বসুমতিকে

হে সঞ্জয় ভ্রাতুস পুত্রী, মাতৃরুপী তনয়া
তোমার সুবিশাল অন্তরিক্ষের শুভ্র শীতল ছায়ায়
সজীব হোক যত ক্লান্ত প্রাণ আছে ধরণীতে
তোমার জ্ঞানের বর্নালী প্রভা 
ছড়িয়ে পড়ুক সূর্য্য লোকে
মুখরিত হোক আকাশ বাতাস তোমার জয় ধ্বনিতে |




২২-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা। 

Wednesday 21 October 2015

মৃত্যুঞ্জয়

  "মৃত্যুঞ্জয়"
বিশ্বাস তন্ময়


|| যুক্তি তাহার ত্রিশূল ধারি, কন্ঠ যেন অগ্নি বারি
ত্রিশূল ধারি সর্প যেন দংশীল আমারে
অঙ্গ যেন জ্বলে পুড়ে যায় ভুজঞ্জিনীর বিষ পেয়ালায়
সম্কচিত হৃদ-কম্পন ধমনির অই বিষ প্রভায়
জীর্ণ কুঠির দ্বারে যে অই মৃত্যুদূতের গান শোনা যায়
নেশাচুর অই মৃত্যু মায়ায় মেঘান্বেষীর শীতল ছোয়ায়
পুলকিত হয় হৃদয় আমার জীবন সায়হ্নে
হারিয়ে যায় প্রেম লীলায় মেঘান্বেষীর তনু ভেলায়
সারথী আমার দিক যে হারায় মাঝ দরিয়ায়
স্রোতষীনির নাভী মূলে ময়ূর যে অই ঝংকার তোলে
ঢেউয়ের তালে সুভাষ যেন বাঁশুরি বাঁজায়
সর্পবেশী মেঘান্বেষী কাঁটিল আমার অন্তরায়
মৃত্যুকে তাই করিলাম জয় মৃত্যুদূতের উষ্ম ছোয়ায়
হয়ে মৃত্যুঞ্জয় ||

                                                            ২২-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা। 

একফালি মেঘ

"একফালি মেঘ"
  বিশ্বাস তন্ময়

|| আকাশটা পড়েয়াছে আজ গোমড়া মুখে
নেই সূর্য্যের ছ্টা, বাতাসেরা নিয়েছে যেন ছুটি
পাখিরা আজ অলাস ভরে বোসে আছে চুপ্টি করে
চারিদিকে মেঘ থম থম করে আমার মনের ঘরে
ভীত চোখে দেখি  চেয়ে
মেঘান্বেষী আসেনি আজ আমার দ্বারে
চোখ টলমল করে
মেঘান্বেষী হারিয়েছে আজ বহু ক্রোশ দূরে
বিষর্ণতা ছেয়ে গেছে মুখজুড়ে 
ছ্ন্দাহাসি হারিয়েছে সব মেঘান্বেষীর আঁচল ধরে
মনের অই দুয়ার খুড়ে একটি কথাও আসেনা ভেসে
কলমটা তাই চুপ্টি করে কেঁদে যায় বোবা স্বরে
কত কথা ওর জমা পড়ে আছে মনের বদ্ধ কণে
পড়ে না ধরা ওরা যে আজ ছ্ন্দ বাণে 
পশ্চিমাকাশে একফালি মেঘ উড়ে যায়
অই মাঘান্বেষীর ঘর পানে
পারেনা কি ও বৃষ্টি হয়ে 
ব্যাথা আমার  পৌছে দিতে মাঘান্বেষীর কানে ?? ||
                                                                               (অষ্টমী-২০১৫)
  ২১-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা।

Monday 19 October 2015

পরিচয়


    "পরিচয়"
  বিশ্বাস তন্ময়
  
|| দুঃখ আমি আমার মাঝেই লুকিয়ে রাখতে চাই
   ও দেবে না পরিচয়
   বোবাস্বরে কেঁদে যাক ও আমার অন্তরায় !
  
   ঈশান কণে মেঘ দামিনী, বর্ষণ হবে নিশ্চিত জানি
   তবু বর্ষণ নাহি হয়
   অন্ধ হয়ে ঝরে যাক ও আমার অন্তরায় !
  
   অগ্নিমালা জপতে হলে আগুনে জ্বলতে হয়
   নব সৃষ্টির মাঝে আবার অগ্নিমালা চায়
   দাহন হয়ে জ্বলে যাক ও আমার অন্তরায় !
  
   অমৃতের স্বাদ শুধু যে অই অমৃত-পায়ী পায়
   চারণ পশু কেমনে বুঝিবে অমৃত কারে কয়
   মধুকরী হয়ে রয়ে যাক ও আমার অন্তরায় !

   হৃদয়ের কথা বুঝতে হলে হৃদয় থাকা চায়
   চর্মচক্ষু কেমনে বুঝবে ভালবাসা কারে কয়
   ও দেবে না পরিচয়
   গোমড়া মুখে রয়ে যাক ও আমার অন্তরায় ! ||
  
   ১৯-১০-২০১৫ । রাতে, ধানমন্ডি- ১৯ নম্বর।

Saturday 17 October 2015

সিগারেট



  "সিগারেট"
    বিশ্বাস তন্ময়

 || সিগারেটের, অই কালো ছাই মাঝে
   প্রেয়্সীর শুভ্র মুখ-খানা হাসে
   ভাঁসে যে গন্ধ ওর ধোয়াই ধোয়াই
   ওযে জ্বলে যায়  জ্বালায় আমায় !
  
   গভীর নিশিতে পাখির ডানাই ভেঁসে
   হারায় স্বপ্নগুলো আধাঁরে
   একফুল্কি দাহ মাঝে আশার প্রদীপ হাসে
   খুঁজে পায় আমি যেন আমারে |
  
   ওতো নয় শুধু ছাই তুষেদের কথা কয়
   শুধু যে জ্বালায় তবুও জ্বলে যায়
   করেনা স্বপ্নহানী জানে'না ও বেইমানি
   ওকে যে আমি চিনি !

   যেতে পারো তুমি ছেড়ে চলে গেছো বহুদূরে
   যাবেনা ও জানি
   রয়ে যাবে তত কাল বেঁচেরব যত কাল
   ওযে দুঃখ-সুখের সঙ্গীনি |
  
   হৃদয় আজি পুড়ে গেল উড়ে গেল ধোয়া হয়ে
   রয়ে গেল ছাই হয়ে
   কয়ে গেল কথা অই হৃদয়ের সাথে
   প্রতিটি নিশ্বাসে; প্রেয়্সীর মুখ-খানা ভাঁসে
   অই কালো ছাই মাঝে !                                          


                                                                ১৭-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন ( হোস্টেল ), ধানমন্ডি- ১৯ নম্বর।

Thursday 15 October 2015

আমি চাই


      "আমি চাই"
      বিশ্বাস তন্ময়

||  অই কোলাহল পেরিয়ে আমি হারিয়ে যেতে চাই
   আমি যে আমার চিরচেনা সেই গ্রামে ফিরতে চাই |
   হিজি গিজগিজ মাথা আর মাথা, যানবাহন আর কোলাহলে খাসা
   আমার দমই যে ফুরায়, ওদের মাঝে প্রকৃতির সেই ছোয়া যে নাই !
   আমি যে আমার ঘরেতে ফিরতে চাই |
   বাংলা মায়ের মেঠো পথে আমি আবারও হাঁটতে চাই
   ইট পাথরের শরীরে ওদের মায়া-মমতাও নাই
   হৃদয়ে যেন রক্ত ওদের ঝরনা ধারায় বয়, ওরা যে নির্দয় !
   আমি যে আমার চিরচেনা সেই গ্রামে ফিরতে চাই |

   গ্রামের অই ধুলি-কণা মাঝে, আমি যে আমায় খুজে পায়
   আবার বালক হতে চাই, ঘুড়ির নাটাই ধরতে চাই                           
   কৃষান-মজুর ভায়েদের সাথে গল্প করতে চাই
   মাছরাঙ্গা হয়ে আবারও আমি মাছ ধরতে চাই
   পুকুরের জলে ঝাপ দিয়ে আমি হারিয়ে যেতে চাই |

    গ্রাম বাংলার খাল-বিল-জলে, চন্দ্র-সূর্য্য একই সাথে জ্বলে
    ঘাঁসের ডগায় শিশির বিন্দু তাঁরাদের কথা কয়
    ওদের সঙ্গী হতে চাই,
    শিউলী-বেলী, পলাশ-ডালি সমীরণ হয়ে বয়
    ওদের গন্ধ শুকতে চাই
    আমি যে আমার চিরচেনা সেই গ্রামে ফিরতে চাই |

    গ্রাম বাংলার অই মাঠ-ঘাটে সোনার শস্য আর কাঁশেদের সাথে
    দখিনা বাতাস যেন লুকোচুরি খেলে যায়                                          
    ওদের সাথে মাথা দোলাতে চাই
    আমি যে আমার চিরচেনা সেই গ্রামে ফিরতে চাই |
    পালতুলে অই মাঝিরে ভাই ঢেউয়ের তালে গান গেয়ে যায়
    আমি যে ওদের সাথে গলা মিলাতে চাই
    বকের মত উড়ে যেতে চাই, অই পানকৌড়ি হতে চাই |

    শীত শীত শীত ভাব এলে গরম চাদর গায়ে তুলে
    প্রভাতের অই কিরণ তলে আমি দাঁড়াতে চাই
    খেঁজুর সর যে খেতে চাই                            
    আমি যে আমার চিরচেনা সেই গ্রামে ফিরতে চাই |                                          
    গ্রাম বাংলায় সন্ধ্যা হলে কলোরব সব পিছনে ঠেলে
    হঠাৎ করে আঁধার ঢলে, ঝিঝিরা গান গায়;
    ঘুটঘুটে সেই অন্ধকারে পথ হারাতে চাই
    সন্ধ্যা-রাতের জোনাকির সাথে আলো জ্বালাতে চাই
    আঁধার মাঝে আমি যে অই ভয়্টাই পেতে চাই
    আমি যে আমার চিরচেনা সেই গ্রামে ফিরতে চাই |                             
                                                      
    দোয়েল, কোয়েল, শ্যামার সাথে উড়াল দিতে চাই
    আমি যে আমার বাবার কন্ঠে গান শুনতে চাই
    মায়ের কোলে মাথা রেখে শিশু সেই হতে চাই
    ভাই-বোন আর বাবা-কাকা মিলে আহার করতে চাই
    সঙ্গী-সাথী নিয়ে আমি খেলাই মজতে চাই
    আমি যে আবারও প্রাণ খোলা সেই হাসিটি হাসতে চাই |

    ইট, পাথর আর কোলাহল থেকে মুক্ত  হতে চাই
    মায়ের কোলে আবারও আমি ফিরে যে যেতে চাই |
    ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়তে চাই
    চিরসবুজের মাঝে যে আমি হারিয়ে যেতে চাই
    আমি যে আমার চিরচেনা সেই গ্রামে ফিরতে চাই |                          
    ইট, পাথর আর কোলাহল মাঝে, "মা"যে আমর  নাই !
    আমি যে আমার ঘরেতে ফিরতে চাই
    মায়ের স্নেহ ভালবাসা আর হাসি মুখটি দেখতে চাই
    গ্রাম বাংলার মেঠো পথে আমি আবারও হাঁটতে চাই
    আমি যে আমার চিরচেনা সেই গ্রামে ফিরতে চাই ||        
                                                                  

                                                               ১৫-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন ( হোস্টেল ), ধানমন্ডি- ১৯ নম্বর।

Wednesday 14 October 2015

        "ক"
 বিশ্বাস  তন্ময়

"ক"-তে কালি মা আমার
"ক"-তে হয় কালো
"ক"-ই যে হৃদয়ে আমার জাল বুনিলো
"ক"-ই যে কয় কথা হৃদয়ের কানে-কানে
"ক"-এর কালিতে খুঁজি মোরা জীবনের মানে !

"ক"-তে কৃষ্ণ আমার বাঁশুরি বাঁজায়
"ক"-তে কলংকিনী রাধা মাতে হয়
"ক"-তে কন্ঠে আমার বাকদেবী রয়
"ক"-তে কলম তুলে কবিরা গান গায়
"ক"-তে কৃপার ডালি লক্ষী মাতে বয়
"ক"-তে কৃষাণ তারা শস্য ফলায়
"ক"-তে কোকিল সে তো মধুর স্বরে গায়
"ক"-তে কাক যে আবার কলংকিত হয়
"ক"-তে কম্কাল সে যে ভীষন ভয়ংকর
"ক"-তে আবার কেনা-বেচা হয় বাঁচাতে সংসার !

"ক"-এর মাঝে আলোর দিশা ক'জন খুঁজে পায়
"ক"-এর মাঝে বিশ্ব সংসার একা একা বয়ে যায়
"ক"-এর আলোয় তাই তো আমি করবো বিশ্ব জয়
"ক"-কে তোরা করিস না'ক ভয়
"ক"-যে সর্বময়, আয় "ক"-এর গান গায় !

                                                                              
                                                     ( শুস্মিতাকে উৎসর্গ করলাম )
                                                                ১৪-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ধানমন্ডি।

মেঘান্বেষী


                 "মেঘান্বেষী"
                বিশ্বাস তন্ময়
                    
                      (১)
       || বলিতে যদি না চাও কথা              
         কেমনে বোঝাবো মনের ব্যাথা,
         কেমনে শুধাবো, "কেমন আছো তুমি" !
         কেমনে গাহিবো গান,
         কেমনে হাসিবো মন খুলে আমি,
         কেমনে বাঁজিবে তান !

         তুমি যে আমার মেঘান্বেষী
         মেঘে মেঘে তুমি রয়েছ ভাসি
         একটু খানি হাসি দিয়ে
         জোড়াও না'মোর প্রাণ !
         তুমি যে আমার হৃদয় তাঁরা
         তুমি যে অনির্বাণ |
     
         কেমনে শুধাবো,"কেমন আছো তুমি" !
         কেমনে বাধিঁবো তান
         তুমি যে আমার গানের সুতো
         ছন্দের কলতান
         কোহেলিয়া তুমি কন্ঠে আমার
         অমর গীতবিতান
         তুমি যে আমার মেঘান্বেষী
         তুমি যে আমার প্রাণ |
                                                                                   http://meghannesi.blogspot.com/
                                                                 ১৪-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা।
                        (২)
         তোমারি বিহনে শুন্য এ মনে
         কত কথা গেঁথে যায় মোর প্রাণে
         বোবা অনুভূতি গুলো
         অশ্রুধারায় ঝরে যায় প্রতিক্ষণ,
         অমানিশা যেন ঢলে পরে প্রাণে
         সিক্ত হয় জীবন,
         তোমারি বিহনে শুন্য এ মনে
         মৃত্যুর স্বাদ লোভিল যে প্রাণে
         তোমাছাড়া এই ত্রিভূবণে
         আর, কিছু নাহি মোর চাই
         তোমারি মাঝেতে আমি যেন
         হৃদ-মন্দির খুঁজে পাই |

         তোমারি পানে চাহিয়া আমি    
         সব কষ্ট ভুলে যায়
         সকল সুখের মাঝে আমি
         তোমায় পেতে চাই
         দুঃখ যেন কড়ানেড়ে যায়
         শুধু  আমার অঙ্গিনায়
         ও যেন তোমার
         স্পর্শ নাহি পায় |

                   (৩)   
        গোমড়া মুখে থাক যখন
        বিসন্নতায় ভরে এ মন
        তোমার মুখের হাসি যেন
        কভু না ফুরায়
        আমি যে ঐ হাসির মাঝেই
        আলো দেখতে পাই
        নয়্ন জোড়ার মাঝে আমি
        হারিয়ে যেতে চাই
        ওষ্ঠ যুগল যেন তোমার
        প্রেমাস্পর্শ চাই |

        তোমার রুপের ঝলোক যেন
        সারা বিশ্বে বয়
        চন্দ্র যেন হিংসা ভরে
        মুখ লুকিয়ে নেয়
        পাখিরা যেন প্রভাত ভেবে
        আধাঁরে হারায়
        প্রকৃতি যেন তোমায় দেখে
        ছ্ন্দ ভুলে যায়
        সাগর যেন লজ্জা পেয়ে
        শান্ত হয়ে যায়
        সৃষ্টি যেন একে একে সব
        অবাক চেয়ে রয়
        আমি যে তোমার নামের
        মালা জপতে চাই
        গানের ডালি যেন আমার
        কভু না পুরায়
        আমি যে তোমার মাঝেই
        বেঁচে থাকতে চাই |

                     (৪) 
         তুমি যে আমার মেঘান্বেষী
         মেঘ মাঝে তুমি শুভ্রকেশী
         আলতো কোমল ছোয়া মাঝে
         তুমি যে আমার মেঘ বিলাসী
         নিদ্রা মাঝের অতন্দ্রিয়ায়
         তুমি যে আমার জ্ঞানপিয়াসী
         মধুকরী হয়ে ফুলো মাঝে ঐ
         তুমি যে আমার স্বপ্নবেশী,
         তুমি যে এক নবসৃষ্ট তারা
         গন্ধ যেন আকূলহারা       
         সৃষ্টি যেন তোমা মাঝে ঐ
         কৃষ্টি খুঁজে পায়
         তোমার মাঝেই সৃষ্টি যেন
         মোর, চিরকাল বেঁচে রয়
         আমি যে তোমারি নামের
         অগ্নিমালা গাঁথতে চাই
         তোমারি মাঝেই
         আমি যেন ঐ অমরত্ব পাই ||                                     
                                                                                    http://meghannesi.blogspot.com/ 
                                                                     ১৮-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল ), ঢাকা।

Tuesday 13 October 2015

আগমনী গান

                  "আগমনী গান"
                           বিশ্বাস তন্ময়

|| খট খট খট শব্দ করে আসছেন মা অশ্বে চড়ে
        কাঁপছে আকাশ, কাঁপছে বাতাস, নাচছে নারী-নর
               মা আসছেন ভবে আমার করিতে উদ্ধার
                     ওরে তোরা শঙ্খ বাঁজা ঢাকের কাঠি এবার সাজা
                            ধুপ-ধুনো আর আরথি করে মাকে বরণ কর
                                  মা আসছেন ভবে আমার করিতে উদ্ধার |

                                                 কৃপা-সিন্ধু ডালি হাতে অই যে দেখ লক্ষী মাতে
                                                      ময়ূর-পক্ষী ডানায় চেপে আসছেন এবার অই কার্তিকে
                                                          বীনাপাণি আসছেন দেখ শ্বেতহংস রথে চেপে
                                                              তিং তিং তিং তিড়িং ভিড়িং আসছেন এবার দন্তফড়িং
                                                                  নীলকন্ঠ আসছেন দেখ ভূতো-সেনা পিছনে রেখে
                                                                       ওরে তোরা ওদের বরণ কররে তোরা ওদের বরণ কর
                                                                             মা আসছেন ভবে আমার করিতে উদ্ধার |

 দিক হতে অই দিগন্তে ভাই আগমনী গান শোনা যায়
      মা আসছেন আমার নিলয় হৃদয় মাঝে প্রদীপ জ্বালায়
           ঢাক কুড়া কুড় ঢাকের তালে নাচবেন মা ত্রিশূল তুলে
                 নাচবো মোরা মায়ের তালে সকল দঃখ-কষ্ট ভুলে |

                         থরো থরো থর কাঁপে থর থর য্ত সূরাসুর ত্রিলোকে
                             সাধু জনে ত্রাণ দিতে পরিত্রাণ, হবেন বিনাশীনি করিবেন নাশ তিনি
                                 তিনি যে অসুর বোধিনী; সৃষ্টি পালন কারিনী তিনিই যে জগৎ জননী
                                     ওরে তোরা জয়র ধ্বনি কররে তোরা জয়র ধ্বনি কর
                                         মা আসছেন ভবে আমার করিতে উদ্ধার, য্ত পাপীতাপী আছে ভূলোকে ||


                                                                                ১৩-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল )

Monday 12 October 2015

জ্ঞানপিয়ালী

"জ্ঞানপিয়ালী"
বিশ্বাস তন্ময় 

|| আমি কিন্তু, অই মানুষের দলে
যাদের আছে অনেক, তবু পায়ে হেঁটে চলে
অই যে, লোকে যাদের পাগল বলে !
গাড়ি বাড়ি আমারও আছে
শিক্ষাও আছে বেশ
তবু আমি মানুষে মানুষে দেখিনা বিভেদ !

কেবা মুচি কেবা শুচি কি এসে যায় তাতে !
যত পারিবে মানুষ ধরিবে জ্ঞান বাড়িবে তাতে
জ্ঞানই শক্তি, জ্ঞানই মুক্তি, জ্ঞানই দেবে আলো
মুছেফেলে সকল অহংকার জ্ঞানের প্রদীপ জ্বাল
জ্ঞান চক্ষু হলে মুক্ত ঘুচিবে তোমার সকল দুঃখ
সৃষ্টি উল্লাসে তখন উঠবে তুমি মেতে
তাইতো আমি ঘুরে বেড়াই পাগল ছদ্মবেশে |

প্রকৃতি যখন হাতছানি দেয় হৃদয় মাঝে সেতার বাঁজায়
ঘর ছেড়ে তাই ছুটে যে যায়
জ্ঞানপিয়ালীর দেশে, এক পাগলের বেশে |
দিকহারা সেই দিগন্তে ভাই জ্ঞানমালতি গন্ধ ছড়াই
শুভ্র-শীতল ছায়া মাঝে স্বর্গীয় সুখ অনুভূত হয়
হারিয়ে যায় অতন্দ্রীমায় হয়ে তন্ময়, হয়ে তন্ময় ||

                                                                            
                         (ফারহানা মেডামকে  ছোট্ট উপহার) 
                    ১২-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল )

Sunday 11 October 2015

সূর্যাদয়

                                  "সূর্যাদয়"
                              বিশ্বাস  তন্ময়

অই               ছুটেছে রণভেরী দূর্গম পথ ধরি
                    য্তক্ষণ আছে দম লড়ে যাবে  প্রান-পণ
                    ভেদিবে আঁধার যত আলোর দিশায় !

ওরে              তোরা গেঁয়ে যারে গান দিয়ে মনও প্রাণ
                    ভুলে সংশয় হ'রে আগুয়ান
                    উড়াতে বিজয় নিশান, আজি গেঁয়ে যারে গান !

ওরে              তোরা  কে আসিবি আয় ভয় নাহি পায়
                    হয়ে ইন্দ্র-বাণ করিবে নিধন
                    য্ত প্রাণ আছে ঐ আঁধার মাঝে !

ওরে              কন্ঠ আজি অগ্নি বীনা বাঁজাবে জানি প্রলয় বীনা
                    করিতে শান্ত হবে অশান্ত মানিবে না কভু হার
                    নাই যে ওদের ডর ওরা যে ভয়ম্কর !

অই              দেখ যায় শমশের হাতে দামাল ছুটেছে মহাউল্লাসে
                   ভেদিয়া বক্ষ সিন্ধু তাহার রণভেরী শোনা যায়
                   হবে যে সূর্যাদয় আজি এ প্রভাতে,
                   ঘুচিবে আঁধার য্ত পৃথিবীতে আছে !



১১-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল )

Tuesday 6 October 2015

হরতাল

          "হরতাল"
        বিশ্বাস তন্ময়


|| হরতাল চলছে আজ, হরতাল
   সমগ্র বুক জুড়ে !
   হৃদয্ন্ত্র যেন বিকল হওয়ার উপক্রম
   আপছা আলো-ছায়ায় মিশে থাকা
   কোন এক মেঘ বালিকার নেশায়;
   প্রতিটি ধমনিই যেন তার নামের
   অগ্নি মালা গেঁথে চলেছে অবিরাম
   যার স্পর্শকাতরা অভেদ্য ণাগপাশ,
   কঠিন শীকল দ্বারা আবদ্ধ
   "দেহ, মন ও প্রাণে" ঝুলছে মস্ত-বড় এক তালা
   শ্বাস-প্রশ্বাসে উৎতপ্ত ঝড়ো হাওয়া
   অসহ্য য্ন্ত্রণায় নিথর দেহ
   যেন, শেষ নিঃশ্বাসের মূর্চ্ছণায় নেশাচ্ছন্ন |
   নেশা, কোন এক মেঘ বালিকার নেশা
   আপছা আলো-ছায়ায় মিশে থাকা
   কোন এক প্রেয়সীর নেশায়
   হরতাল চলছে আজ, হরতাল,
   সমগ্র মন জুড়ে ! ||

০৫-১০-২০১৫ । শাপলা ভবন (১৯ নম্বর - হোস্টেল )